সন্ধ্যায় আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু
ডেস্ক প্রতিবেদন : মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ অংশে সম্মিলিত অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সন্ত্রাসীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনীকেও একইসময় তাদের অংশে অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যরা এরইমধ্যে হেলিকপ্টারে এবং অন্যান্য মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি এলাকায় পৌঁছেছে। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ অভিযান শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
‘জায়গাটি এতোই দুর্গম যে সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স পৌঁছানো সম্ভব হলেও অভিযান শুরু করতে একটু সময় লাগছে,’ বলে মহাপরিচালক ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
এর মধ্যে দুর্গম ওই এলাকা থেকে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত নায়েক জাকিরকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা তার সঙ্গে কথা বলে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আপাততঃ তার শরীর থেকে রক্তপাত থামানো গেছে।
সকালে বান্দরবানের থানচির বড়মদক এলাকায় বিজিবির টহল দলের উপর আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। সেসময় বিজিবির নায়েক জাকির আহত হন।
বিজিবির ১০ সদস্যের এবং সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের আরেকটি দল টহল দেওয়ার সময় পরস্পরকে পেরিয়ে যাওয়ার সময় মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।
এর আগে মঙ্গলবার বিজিবির একটি দল সন্ত্রাসী গ্রুপের ছয়টি ঘোড়া আটক করে। আরেকটি দল আটক করে আরো চারটি ঘোড়া।
‘এর সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে,’ বলে বিজিবি মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ ধারণা করছেন।