মিনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১০, আহত পাঁচ শতাধিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের মিনায় পবিত্র হজ পালনের সময় পদদলিত হয়ে ৩১০ জন হাজি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫০০ জনের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি আছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দেশটির দমকল কর্মীদের বরাত দিয়ে আল-আকবারিয়া টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, মিনার ২০৪ নং সড়কে শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই হাজিদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার হাজিরা মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পাথর নিক্ষেপের আগে মক্কার কাছে মিনার ২০৪ নং সড়কের জামারাত সেতুর কাছে পদদলিত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে বর্তমানে হজের উদ্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় বিশ লাখ হাজি অবস্থান করছেন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে পবিত্র মসজিদুল হারামে সংস্কারকাজে নিয়োজিত একটি ক্রেন দুর্ঘটনায় ১০৯ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরো অন্তত ৩৩১ হাজি। সেসময় নিহত হাজিদের পরিবারকে দুই কোটি আট লাখ টাকা (১০ লাখ সৌদি রিয়াল) ও স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়া হাজিদের পরিবারকে পাঁচ লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি এক কোটি ৪ লাখ টাকা ) দেয়ার ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার।
এছাড়া ২০০৬ সালেও হজের সময় মিনায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৬০ জন নিহত হয়।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
অবশ্য হজ পালনের সময় পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ১৯৯০ সালে হজের সময় একটি টানেলে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৪’শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এর আগেই গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আল-হারাম মসজিদের ওপর নির্মাণকাজে ব্যবহৃত একটি বিশালাকৃতির ক্রেন ভেঙে পড়লে মারা যায় ১১১ জন, আহত হয় ২৩৮ জন।
সূত্র: রয়টার্স, আল অ্যারাবিয়া, সৌদি গেজেট