জাপানে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও সচিব
মুক্তমন ডেস্ক: টানা ৮ বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর শুক্রবার অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেন শিনজো আবে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আবের পদত্যাগের পর থেকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এছাড়া কি প্রক্রিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেয়া হবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অস্পষ্টতা।
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এলডিপির অভ্যন্তরে মতবিরোধ না থাকা এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। তার আগ্রাসী মুদ্রানীতি জাপানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বয়ে আনে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন আবে। এছাড়া চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়ন হয় তার সময়েই। নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে এবিষয়গুলোই প্রভাব রাখবে।
আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন দলীয় প্রধান বেছে নেয়ার কথা রয়েছে এলডিপি’র। তবে আবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে আগামী বছর। তাই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবেন মাত্র এক বছরের জন্য।
শিনজো আবে’র পদত্যাগের ঘোষণার পর থেকেই তার উত্তরসূরি হিসেবে উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী তারো আসোর নাম সবচেয়ে বেশি শোনা গেলেও তিনি নিজেই সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। শিনজো আবে’র পছন্দ অবশ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এলডিপি’র নীতিমালা প্রধান ফুমিও কিশিদা।
প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো, পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কইজুমি এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেইকো নোদা।
তবে প্রধানমন্ত্রী যে-ই হোন না কেন জাপানের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নীতিমালায় বড় ধরণের কোন পরিবর্তন আসবে না বলেই ধারণা।